ইদ চলে গেল আমি কবে যাব? এরকম একটা প্রশ্ন করে আমার মতামত জানতে চাইল।
বললাম,আজকে সাজ্জাদদের বাসায় আমাদের সবাইকে দাওয়াত দিয়েছে ওখান থেকে ঘুরে এসে তুমি আগামীকাল যাও।
উত্তর শুনে তেমন কিছু আর না বলে আবার জানতে চাইল আমিও কী সাজ্জাদদের ওখানে যাব?
বললাম হ্যাঁ আমরা সবাই সেখানে যাব।কিছুক্ষণ পরে আমি নিজেই প্রস্তাব দিলাম যে তুমি চাইলে আজকেও যেতে পার। সাজ্জাদদের বাসায় খাওয়া শেষ করে তোমাকে আমি বেতুয়ান ঘাট পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে আসতে পারি। বললো ওই পথ আমি ভালো করে চিনিনা।তুমি আমাকে নদী পার করে দিলে ওই পথে যাব।
বললাম নদী পার করে দিতে পারবো না।বললো তাহলে আমি ফরিদপুর হয়ে যাব।
বললাম ওকে তুমি ব্যাগ গুছিয়ে আরাফকে রেডি কর।
বললো আমার রেডি হওয়ার তেমন কিছু নেই আরাফকে কোন ড্রেস পড়াবো দেখিয়ে দাও।
সাধারণত আরাফ কি রঙের এবং কেমন ড্রেস পড়বে তা আমিই ঠিক করে দেই। তো সেটা দেখিয়ে দিয়ে আমি সেলুনে চুল কাটাতে চলে গেলাম।
লেট হচ্ছে দেখে সাজ্জাদের বাসা থেকে বারবার ফোন দিয়ে দ্রুতই বের হতে বলা হচ্ছিল এদিকে সেলুনের কাজ শেষ করতে আমিও সাদ্দাম কে বারবার ত্বরান্বিত করছিলাম।
বাসায় এসে দেখি অনেকেই রেডি হয়নি। সবাই কে তাড়াতাড়ি করতে বলে আমি রেডি হয়ে ছোটো কাকাকে বললাম আপনি আমার সাথে চলেন মেহমান বাড়ির জন্য বেশ কিছু ফলমূল আর মিষ্টি কিনতে হবে।
বাকিরা রেডি হোক আমি শারমিন কে বললাম তোমরা বাসায় থাকো আমি নদীর পাশে গিয়ে গাড়ি পাঠিয়ে দিচ্ছি।
প্রচন্ড গরমে আমার প্রায় গোসল দিয়ে উঠার মতো অবস্থা। এদিকে গাড়ি একটা পেলাম লাগবে দুটো। মোতাহার গ্রামের ভ্যানচালক। খুবই ভালো ছেলে বললাম তুমি একটু অপেক্ষা কর আর খেয়াল কর আরেকটা গাড়ি আসে কিনা আমি শুধু ফরজ নামাজটা শেষ করে আসি
বেলা প্রায় পৌনে দুইটা অবশেষে আমার বেশ অনুগত গ্রামের ভ্যানচালক রনি কে পেলাম বলা মাত্রই রাজি হয়ে গেল।বললাম বাড়ির সামনে তোমার ভাবি সহ বাড়ির অন্যান্য মহিলারা অপেক্ষা করছে তাদেরকে নিয়ে তুমি সোজা দেওভোগের উদ্দেশ্যে রওনা দাও।
বলেই শারমিন কে ফোন দিয়ে বললাম গাড়ি পাঠিয়েছি তোমরা দুই গাড়িতে ভাগ হয়ে চলে যাও।বললো আমি কি তোমার সাথে মটোরসাইকেলে যাব নাকি ভ্যানে যাব?
বললাম ছোটো কাকাকে নিয়ে যাচ্ছি আমার সাথে বাজারে বেশকিছু কেনাকাটা করতে হবে তুমি ভ্যানে ওদের সাথে চলে যাও।
গাড়ি স্টার্ট দিতেই দেখি মেঝভাই এখনো সেলুনে চুল কাটাচ্ছে।কিছুটা রাগ হচ্ছিল। কিছু না বলে কেবল বললাম তাড়াতাড়ি করে গোসল দিয়ে একটা ভ্যানে চেপে ব্রীজের নিচে অপেক্ষা করতে আমি বাজার শেষ করে যাওয়ার পথে আপনাকে তুলে নিয়ে তিনজন একসাথে যাব।
বাইকে চড়ে যাচ্ছি এতে করে আমার গা টা এবার একটু ঠান্ডা হলো। ফোনে রিং হচ্ছিল কিন্তু রিসিভ করতে পারলাম না। বাজারে নেমে ফোন চেক দিলাম দেখি সাজ্জাদের আব্বু। ফোন ব্যাক দিয়ে স্যারকে(ভাতিজির শশুর)সরি বললাম দেরি হওয়ার জন্য।