Friday, 27 June 2025

অনুক্তি

২৬/০৬/২০২৫

 ইদ চলে গেল আমি কবে যাব? এরকম একটা প্রশ্ন করে আমার মতামত জানতে চাইল।

 বললাম,আজকে সাজ্জাদদের বাসায় আমাদের  সবাইকে দাওয়াত দিয়েছে ওখান থেকে ঘুরে এসে তুমি  আগামীকাল যাও।

উত্তর শুনে তেমন কিছু আর না বলে আবার জানতে চাইল আমিও কী সাজ্জাদদের ওখানে যাব?

বললাম হ্যাঁ আমরা সবাই সেখানে যাব।কিছুক্ষণ পরে আমি নিজেই প্রস্তাব দিলাম যে তুমি চাইলে আজকেও যেতে পার। সাজ্জাদদের বাসায় খাওয়া শেষ করে তোমাকে আমি বেতুয়ান ঘাট পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে আসতে পারি। বললো ওই পথ আমি ভালো করে চিনিনা।তুমি আমাকে নদী পার করে দিলে ওই পথে যাব।

বললাম নদী পার করে দিতে পারবো না।বললো তাহলে আমি ফরিদপুর হয়ে যাব।

বললাম ওকে তুমি ব্যাগ গুছিয়ে  আরাফকে রেডি কর। 

বললো আমার রেডি হওয়ার তেমন কিছু নেই আরাফকে কোন ড্রেস পড়াবো দেখিয়ে দাও।

সাধারণত আরাফ কি রঙের এবং কেমন ড্রেস পড়বে তা আমিই ঠিক করে দেই। তো সেটা দেখিয়ে দিয়ে আমি সেলুনে চুল কাটাতে চলে গেলাম। 

লেট হচ্ছে দেখে সাজ্জাদের বাসা থেকে বারবার ফোন দিয়ে দ্রুতই বের হতে বলা হচ্ছিল এদিকে সেলুনের কাজ শেষ করতে আমিও সাদ্দাম কে বারবার ত্বরান্বিত করছিলাম। 

বাসায় এসে দেখি অনেকেই রেডি হয়নি। সবাই কে তাড়াতাড়ি করতে বলে আমি রেডি হয়ে ছোটো কাকাকে বললাম আপনি আমার সাথে চলেন মেহমান বাড়ির জন্য বেশ কিছু ফলমূল আর মিষ্টি কিনতে হবে। 

বাকিরা রেডি হোক আমি শারমিন কে বললাম তোমরা বাসায় থাকো আমি নদীর পাশে গিয়ে গাড়ি পাঠিয়ে দিচ্ছি।

প্রচন্ড গরমে আমার প্রায় গোসল দিয়ে উঠার মতো অবস্থা। এদিকে গাড়ি একটা পেলাম লাগবে দুটো। মোতাহার গ্রামের ভ্যানচালক। খুবই ভালো ছেলে বললাম তুমি একটু অপেক্ষা কর আর খেয়াল কর আরেকটা গাড়ি আসে কিনা আমি শুধু ফরজ নামাজটা শেষ করে আসি

বেলা প্রায় পৌনে দুইটা অবশেষে আমার বেশ অনুগত গ্রামের ভ্যানচালক রনি কে পেলাম বলা মাত্রই রাজি হয়ে গেল।বললাম বাড়ির সামনে তোমার ভাবি সহ বাড়ির অন্যান্য মহিলারা অপেক্ষা করছে তাদেরকে নিয়ে তুমি সোজা দেওভোগের উদ্দেশ্যে রওনা দাও।

বলেই শারমিন কে ফোন দিয়ে বললাম গাড়ি পাঠিয়েছি তোমরা দুই গাড়িতে ভাগ হয়ে চলে যাও।বললো আমি কি তোমার সাথে মটোরসাইকেলে যাব নাকি ভ্যানে যাব?

বললাম ছোটো কাকাকে নিয়ে যাচ্ছি আমার সাথে বাজারে বেশকিছু কেনাকাটা করতে হবে তুমি ভ্যানে ওদের সাথে চলে যাও।

গাড়ি স্টার্ট দিতেই দেখি মেঝভাই এখনো সেলুনে চুল কাটাচ্ছে।কিছুটা রাগ হচ্ছিল। কিছু না বলে কেবল বললাম তাড়াতাড়ি করে গোসল দিয়ে একটা ভ্যানে চেপে ব্রীজের নিচে অপেক্ষা করতে আমি বাজার শেষ করে যাওয়ার পথে আপনাকে তুলে নিয়ে তিনজন একসাথে যাব।

বাইকে চড়ে যাচ্ছি এতে করে আমার গা টা এবার একটু ঠান্ডা হলো। ফোনে রিং হচ্ছিল কিন্তু রিসিভ করতে পারলাম না। বাজারে নেমে ফোন চেক দিলাম দেখি সাজ্জাদের আব্বু। ফোন ব্যাক দিয়ে স্যারকে(ভাতিজির শশুর)সরি বললাম দেরি হওয়ার জন্য। 

৩০/০৬/২০২৫( বাদ আসর)

কাঠাল কেবল পাকতে শুরু করেছে। তাই সাইজ পছন্দ হলো না। শ খানেক লিচু,পাচ কেজি আম,মিষ্টি ৩কেজি আর মজো ড্রিংক নিলাম ২ লিটার। দেরি না করে দ্রুত রওনা দিয়ে ব্রীজের নিচে আসলাম। দেখি মেঝ ভাই এখনো আসেনি। কাকা বললো আমি এখানে অপেক্ষা করছি তুমি দ্রুত এগিয়ে গিয়ে আগায়ে নিয়ে আসো।

এগুতে এগুতে প্রায় বাড়ির সামনে চলে আসলাম।দেখি প্রিন্সের অটোতে চেপে মৌলভীর বাড়ির সামনে এসেছে। গাড়ী থেকে নামিয়ে নিয়ে দ্রুত গতিতে চললাম ব্রীজের দিকে।ওখান থেকে কাকাকে উঠিয়ে নিয়ে দ্রুততার সাথে চলতে থাকলাম।

  প্রায় প্রতিটি বিষয়  তুমি যখন যেভাবে চেয়েছ তখন আমার সামর্থ্যের মধ্যে  সেভাবেই সর্বোচ্চ সম্মতি দিয়েছি।কিন্তু প্রতিদান হিসেবে কেবল তোমার আর তোমার পরিবারের  অবাধ্যতা, বেয়াদবি আর অসম্মানজনক অসংলগ্ন আচরণ পেয়েছি।জন্তিহার যাওয়ার বিষয় তার মধ্যে অন্যতম। বিয়ের ৪ বছরের মধ্যে একটি বারও তুমি আমার কথামতো কাশিপুর আসোনি। প্রত্যেকবার তুমি অবাধ্যতার সর্বোচ্চ সীমা অতিক্রম করেছ।মুখবুঝে আত্মসম্মান, সামাজিকতা আর সন্তানের  কথা চিন্তা করে এই বলে নিজেকে বুঝিয়েছি যে একসময় সবকিছু  ঠিক হয়ে যাবে, তুমি বুঝতে পারবে।কিন্তু না, তুমি তোমার স্বভাবের কোনো পরিবর্তন করোনি।এবার নিজে তোমাকে প্রায় বাড়ি পর্যন্ত  এগিয়ে দিয়ে আসলাম, কোনো ঝামেলাও হয়নি  তোমার সাথে অথচ আমাকে না বলেই  ১ মাস পাড় হলো। আসার বিষয়ে নিজ থেকেই ফোন দিলাম ,বললে তিনদিন পরে আসছি কিন্তু এখন  তুমি এবং তোমার পরিবারের যৌথ ইশারায়  নতুন নাটক মঞ্চায়ন করে বলছ,"বাসার কাজ কম্পিলিট না হলে আসবেনা"।এসব কথার অর্থ অস্পষ্ট হলেও আমার কাছে বেশ পরিস্কার। তুমি কখনোই আমার এবং আমার সংসারের  প্রতি আন্তরিক ছিলেনা।তাই সংসারে  তোমার উপর আমার কখনো নিয়ন্ত্রণ ছিলো না। এজন্য  তোমার আসা যাওয়ার নিয়ন্ত্রণ আমার হাতে নেই সে আমি অনেক আগে থেকেই জানি। তোমার ও তোমার পরিবারের  ক্রমাগত অবাধ্যতা আর বেয়াদবি এখন আমাকে নতুন করে ভাবতে শিখিয়েছে। আর এভাবে আমাদের দুজনেরই সামনে এগুনো অসম্ভব একটা ব্যাপার। তুমি জানো আমি প্রতিনিয়ত অনেক গুলো চাপ মোকাবিলা করে চলি। সেক্ষেত্রে প্রতিটি মানুষই তার পরিবারের ইতিবাচক সমর্থন ও সহযোগিতা প্রত্যাশা করে।কিন্তু প্রতিটি ক্ষেত্রেই তোমার নেতিবাচক বাধার মুখোমুখি হয়ে আমাকে একলা সবকিছু সামলাতে হয়েছে। আর একারণে অনেক বিষয়ই তোমাকে আমার বলা হয়নি।কিন্তু এসবের কোনো কিছুই তুমি এবং তোমার পরিবার বুঝতে চাওনি।ক্রমাগত আমার উপর জুলুম করে যাচ্ছ।তাই এখন থেকে তোমার ও তোমার পরিবারের প্রতিটি অবাধ্যতা আর বেয়াদবির উত্তর চোখে চোখ রেখে দিব ইনশাআল্লাহ। আমি শালিস ডেকে কখনোই তোমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনব না।আমার যা অভিযোগ তা তোমাকে লিখে জানালাম। আর তোমার অভিযোগ বা যেকোনো সমস্যার সমাধান তুমি যেভাবে চাও ঠিক করতে পারো।আমার পক্ষ থেকে কোনো বাধা নেই।আমি সবসময়ের জন্য প্রস্তুত আছি।সবশেষ সুযোগ তোমার জন্য ৩রা জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত।এই সময়ের মধ্যে তোমার আসার জন্য আমি নরমালি অপেক্ষা করব।উক্ত সময়ের পরে আমার বাসায় আর তোমার নরমাল এন্ট্রির সুযোগ থাকবে না।এতক্ষণ যা বললাম এগুলো তোমার আর আমার মধ্যকার বিষয়। 


১৪/০৭/২০২৫
বাঙ্গাবাড়িয়া স্কুল

এখন আরাফ আর আমার বিষয় নিয়ে কিছু বলি;

শোন!আরাফ আমার অস্তিত্বের অংশ,আমার আবেগ আর অনুভূতির মিশ্রণ। ওকে ছাড়া আমার অবস্থান আমি কল্পনা করতে পারি না।অনেক আগেই আমরা বুঝতে পেরেছি যে আমরা দুজন দুই পথের মানুষ। কেবল ভাগ্য বা ভুল সিদ্ধান্তের অংশ হিসেবে আমরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে অনেকটা বাধ্য হয়ে সংসার করে যাচ্ছি দিনের পর দিন।জীবন যখন আমার থেমে যাচ্ছিল তখন দয়াময় আল্লাহ আরাফ কে দুনিয়ার সবচেয়ে সেরা উপহার হিসেবে আমাকে দান করেন। আমার জীবনের কোনো পর্যায়েও আমি এতটা আনন্দ উপভোগ করিনি। মৃত্যু পর্যন্ত আর কোনো কিছুতেই আমি এমন অনুভূতি দ্বিতীয়বার পাবো বলে আশা করিনা। মা হিসেবে তুমি যা করেছো তার সাথে তুলনা করার মতো আমার কোনো কাজ সমাজ বা শরীয়াহ কোনোটাই কখনো সমান বলে স্বীকৃতি দিবে না। আমি সেটা দাবিও করিনা।তবে আমি আরাফের জন্য যা যা করেছি তা তোমার দেখা অনেক পুরুষ যে করেনা তা তুমি জানো। আমি ব্যাংকে থাকা অবস্থায় একটা হ্যান্ডসাম স্যালারি পেতাম যে পোস্ট হোল্ড করার কারণে  তা ছেড়ে দিয়েছি আরাফের কাছে থাকার জন্য। সেদিন নিকটাত্মীয় অনেকেই আমার এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধ করেছিলো কিন্তু আমি আরাফ আর  পরিবারের কথা চিন্তা করে তোমাদের পাশে থাকতে কর্পোরেট লাইফ ত্যাগ করে গ্রামে চলে আসি।

ওর জন্মের পর থেকে কতো রাত তোমার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটার কথা চিন্তা করে আরাফকে কাধে নিয়ে রাস্তা দিয়ে নির্জন রাতে পাইচারী করেছি তার হিসাব নেই। আমি একটি বারের জন্যও বিরক্তি হয়নি। সেটা তুমি নিজেও জানো।বরং তুমি বিরক্ত হওয়ায় তোমাকে অনেকবার বুঝিয়েছি।শান্ত করেছি এই বলে যে সবকিছু একসময় ঠিক হয়ে যাবে।ধৈর্য ধরো।

আমি জানি, আরাফ আর পাচ দশটা বাচ্চার মতো হয়তো স্বাভাবিক আচরণ করে নি৷ যার ফলে তোমার অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। কিন্তু আমি তো তোমাকে কখনো একটিবারের জন্যও একা ছেড়ে দেইনি।সবসময় ওর বিষয়ে তোমাকে সাপোর্ট দিয়েছি, তোমার পাশে থেকেছি। 

অনেক সময় আরাফের যত্ন,পোশাক, এবং খাবার নিয়ে  তোমার সাথে আমার অনেক মনমালিন্যও হয়েছে। এসবই ছিলো আরাফ কে যাতে একটু বেশি ভালো রাখা যায় এজন্য।আমি আমার জন্য যা ভালো মনে করিনি তা কখনোই আরাফ আর তোমাকে সেগুলো দেইনি।

সংসারে আরাফ আসার পর কোনো একটা রাত অপ্রয়োজনে আমি বাইরে কাটাইনি ।যেখানে যতো দূরেই গিয়েছি যতো বাধাই হোক তোমাদের কাছে ফিরে এসেছি।শোনো,প্রতিটি পুরুষই দিনশেষে তার পরিবারের কাছে আসে সারাদিনের ক্লান্তি দূর করে একটু প্রশান্তি পাওয়ার জন্য।আমিও এর ব্যতিক্রম ছিলাম না।কিন্তু বেশির ভাগ সময় আমি পেয়েছি তোমার কাছ থেকে ঠিক তার উল্টোটা।আমাদের একসাথে পথ চলায় এবারই প্রথম তুমি এবং তোমার পরিবার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে আরাফ থেকে আমাকে এতটা দিন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রেখেছো।এটা আমার উপর অনেক বড় রকমের একটা জুলুম।তুমি তোমার পরিবারের পরামর্শে যা করছো আমি মন থেকে বলছি আমি এমন কোনো অন্যায় তোমার সাথে করিনি।

অথচ তুমি এবং তোমার পরিবার আরাফ কে আমার কাছ থেকে পরিকল্পিতভাবে দূরে রেখেছ।তাকে পিতৃস্নেহ থেকে তুমি বঞ্চিত করেছো।নানা অবহেলা আর বাস্তবতার আলোকে আমি এখন তোমার বিষয় নিয়ে খুব বেশি ভাবি না বা ভালো কিছু আশা করিনা কিন্তু আরাফের কথা মনে হলে আমি আর নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারিনা।

হয়তো স্বাভাবিক নিয়মে আমি এরকম ভাবতে ভাবতে একদিন চিরতরে হারিয়ে যাব আর না হয় সবকিছু ভুলে গিয়ে সামনে এগুনোর চেষ্টা করবো। কিন্তু বেচে থাকলে আরাফকে ভুলে থাকা আমার কাছে অসম্ভব এবং অসাধ্য একটা বিষয়! 

আমার পদচারণার এমন কোনো একটা স্থান নেই যেখানে আরাফের উপস্থিতি অনুভব করি না।প্রতিটি মুহূর্তেই ওর শুন্যতা আমাকে উন্মাদ করে ফেলে।না মুখফুটে বলতে পারি আর না লোক দেখানো কান্না করতে পারি।বুকের ভিতর বুকফাটা আর্তনাদ নিয়ে দিনকাটাই।দিনের কোনো কোনো সময় এটা এতো বেশি ভাবি যে, ভাবতে ভাবতে একদম থেমে যাই।

সেক্ষেত্রে তুমি আমার থেকে বেশ সাচ্ছন্দ্যেই আছো।কারণ আরাফ তোমার কাছে আছে মানে দুনিয়ার সবচেয়ে সেরা জিনিসটাই তোমার সাথে আছে। এটা অনেকটা প্রকৃতি প্রদত্তও বটে। এবং শৈশবের চেয়ে সে এখন আমার চেয়ে তোমার প্রতি বেশ আন্তরিক হচ্ছে।এটা আমাকে ভালো অনুভূতি দেয়।কারণ আমার অনুপুস্থিতি ওর প্রতি তোমাকে আরও মায়াময় করে তুলবে।এবং দিনশেষে এটা ওকে আরো ভালো রাখবে। 

এবং আমার কাছে মনে হয় এটা জেনেটিক্যালি আর  রাসুলুল্লাহ সাঃ এর হাদিসের আলোকেই সে এটা করছে।শৈশবে আমিও আমার মায়ের প্রতি বেশ আন্তরিক ছিলাম। সে হয়তো তার বাবার সেই বৈশিষ্ট্য নিয়েই বড়ো হচ্ছে। আমিও চাই সে তার মায়ের সম্মান আর ভালোবাসা পৃথিবীর যেকোনো মূল্যের উর্ধ্বে রাখুক।

আমি কখনোই আরাফকে আমরা থাকা অবস্থায় আমাদের দুজনের বাইরে তৃতীয় কোনো ব্যক্তির কাছে রাখতে চাইনি।সবার আগে আমি ওর নিরাপত্তা আর সুস্থতা নিশ্চিত করতে একটু বেশি ব্যস্ত হয়ে পরতাম। তাই শিশু বয়স থেকে তোমার ব্যস্ততায় ওকে আমি সবসময় আমার কাছে,অথবা আমার কর্মস্থলে রাখার চেষ্টা করেছি।এতে আমার কি পরিমান প্রেশার নিতে হয়েছে তা কখনোই আমি তোমাকে বলিনি,বুঝতে দেইনি।

১৫/০৭/২০২৫
বাড়ি(সকাল বেলা)

আশপাশের মানুষ থেকে শুরু করে কর্মস্থলের সবাই অবাক হয়েছে আমাদের বাপ বেটার রসায়ন দেখে।কেউ কেউ বলতো আমিই নাকি ওর মা বাবা!এটা আমি বেশ সম্মান আর ভালোবাসার সাথেই উপভোগ করেছি।যতক্ষণ কাছে থেকেছে আমি ঢের প্রশান্তি পেয়েছি।আমার পাশে ওর উপস্থিতির কারণে যে প্রশান্তি পাই তা বলে এবং লিখে শেষ করতে পারবো না।

ওর প্রতি আমার এতো মায়ার কারণে মাঝে মধ্যে আমার খুব ভয় হতো যেটা তোমাকে আমি বারবার জানিয়েছি।এতো আসক্তির কারণে মনে হতো হয় আমি খুব দ্রুত ওর কাছ থেকে হারিয়ে যাব আর না হয় ও!কতো রাত আরাফ কে নিয়ে দুঃস্বপ্ন দেখে ঘুমের মধ্যে লাফিয়ে উঠতাম তার হিসাব নেই।মাঝে মধ্যে তো তোমাকে আরাফ ভেবে জড়িয়ে ধরতাম।তুমি তখন আমার এমন আচরণ নিয়ে বিরক্ত হতে। আমি স্বপ্নের উপর আমার নিয়ন্ত্রণ না থাকার কথা বলে পাশ কাটিয়ে যেতাম।

আমি ওর স্বাস্থ্যকর অভ্যাস,  স্বাস্থ্যসম্মত খাবার, পরিচ্ছন্ন পোশাক, পরিপাটি শরীর আর শালীন শব্দের ব্যবহারে সবসময় খেয়াল রেখেছি, সময় দিয়েছি, শেখানোর জন্য অবিরাম চেষ্টা করেছি।

জানিনা এখন এই অভ্যাসগুলো নিয়মিত মেইনটেইন করো কি না।সকালে ঘুম থেকে উঠলেই ওর হাত মুখ ধোয়ানো,খালি পেটে পানি খাওয়ানো(জাস্ট ওয়াটার),খোলা এবং প্যাকেটজাত মানহীন খাবার না খাওয়ানো,নাতিশীতোষ্ণ পানিতে গোসল দেওয়ানো,ভালো করে মাথা মোছানো(তোমার কাছে ও কখনও ঠিকঠাক মতো গোসল করতো না,তুমি ওর মাথা মুছাতে পারতে না। ও তোমার কাছে প্যান্ট পরতে চাইতো না।গোসল নিয়ে তোমাদের মা ছেলের রাগারাগি ছিলো খুব স্বাভাবিক একটা ব্যাপার),অসুখ হলে 






No comments:

Post a Comment